নোবেল-নৈবেদ্য
তপজা মিত্র
তুমি ছুঁয়ে দিলে নদীর জল ঘোলাটে, ঢেউ
নাচতে নাচতে গিয়ে থামে বাগবাজারের ঘাটে,
একাকী এলা ওই ঘাটেই স্নানরতা কিংবা কোনও
কবি আফ্রিকায় উদাও, তোমার নদীর ঢেউ পরম শ্রোতার মতো নিবিষ্ট। পাইনের সারি বেয়ে
নেমে আসা রোদে, হলুদ-গোলাপি রঙের বাতাসিয়া লুপে, ডালহৌসি পাহাড়ের শুকনো
বিকেলে তোমার গান ঝরে পড়ে।
লিপিকার শেষ পাতায় সন্ধের মিষ্টি নির্জনতা,
কোথা থেকে উড়ে এল শাঁখের আওয়াজের
কণা! প্রদীপের স্তিমিত আলোয় দিনশেষের
কোকিল ছবি আঁকল গানের, রাগের, তানের,
প্রাণের, সুরের! তৈরি হল মুহূর্ত, সব মুহূর্ত বীণায়
ভরে রাত চলল কিনারার দিকে,
এ সেই কিনারা, যেখানে ধানের শীষ বসে থাকে
উদিত সূর্যের আলো মাখবে বলে, কিনারা ছুঁয়ে
আলো এসে নামল চন্দনের বনে,
স্নিগ্ধ, মুগ্ধ হরিণীর হাতে তখন ‘নোবেল-নৈবেদ্য’।