পর্যটন কিংবা জল বিষয়ক
অভিজিৎ বিশ্বাস
১
কবিতার মতো দুটি দিনের শেষে
শ্রান্ত পর্যটকরা ফিরে গেছে বাড়ি, এখন পাহাড় শান্ত
শান্ত নদী, উপত্যকা, অরণ্যানী।
যে বাঘটা ‘হালুম’ বলে ডাক ছেড়েছিল,
তুলতুলে নরম মাংসের স্বাদ পেয়ে সেও শান্ত এখন।
এইভাবে প্রার্থিত শান্তির জন্য
মাঝে মাঝে লিখতে হয় পর্যটনের নতুন অক্ষর।
বিনা মেঘের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে
জলের কাছে অস্ফুটে বলতে হয়, ওগো প্রাণসখা,
এসো, নির্বাপিত কারো আমায়।
২
শরীর জুড়ে ভরা শ্রাবণের বোরখা পড়েছি
বাঁধ দেওয়া বোল্ডারের কাছে আপাতত জমা রেখেছি
ভরা দুঃখকে
ভাসিয়ে দিচ্ছি দুটি কান্নাভেজা চোখ, দূর শহরের
কানা গলিতে
সম্মুখে অনন্ত জল, ঢেউ ওঠে, ঢেউ নামে, ওঠে আর নামে
ব্যথার দু’হাত ভ’রে মেখে নিচ্ছি জল, জলের কাছে
চেয়ে নিচ্ছি জীবন, মরণসুখে মাতব বলে
হরিণীর মতো প্রবেশ করছি আদিমগুহায়
গলে যাচ্ছে জল, জলের মতো সুখ
গাছের দীর্ঘ শরীরে আমি দিই জল, যে অপরাহ্ন
এসেছে সশব্দে, হিসেবের কড়ির পরিবর্তে
আমি তার হাতে তুলে দিই ঝলমলে রোদের খাতা
গুহাচিত্রগুলি বর্ণময় হয়ে ওঠে।